নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট | 59 বার পঠিত
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন ও নীতিকে যুগোপযোগী করতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ উদ্ধার কার্যক্রম আরও দক্ষ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে জাতীয় সমন্বয় কমিটির ৩০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকারভুক্ত ১১টি মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এসব অগ্রাধিকার কেইসের আওতায় এ পর্যন্ত ১০৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় চার্জশিট দাখিল এবং ৪টি মামলায় আদালত রায় প্রদান করেছেন। পাশাপাশি দেশে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা এবং বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সংযুক্ত ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ জব্দের আওতায় এসেছে।
এছাড়া ১১টি অগ্রাধিকার কেইসের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ২১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। সভায় দ্রুত চার্জশিট দাখিল, প্রয়োজনীয় এমএলএআর প্রেরণ এবং মামলা নিষ্পত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়নে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) আগামী ২০২৭-২৮ মেয়াদে চতুর্থ দফার মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন পরিচালনা করবে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন অর্থ উপদেষ্টা।
সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy